আজ বুধবার, ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দুই মাস ধরে শতাধিক শিক্ষকের বেতন বন্ধ, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে তাদের সংসার

দুই মাস ধরে শতাধিক

দুই মাস ধরে শতাধিক শিক্ষকের বেতন বন্ধ, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে তাদের সংসারদুই মাস ধরে শতাধিক

শহিদুল ইসলাম লিখন, মাদারীপুর:
মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে করতে এসে মাদারীপুরের শিবচরের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শতাধিক শিক্ষকের জীবন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। চাকুরীর ম্যানুয়ালে প্রকল্প শেষে তাদের এমপিওভুক্ত করার কথা থাকলেও গত ডিসেম্বরে মেয়াদ শেষ হওয়াতে বন্ধ হয়ে গেছে তাদের বেতন-ভাতা। এমতাবস্থায় এসকল শিক্ষকদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা।

জানা যায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন প্রকল্প সেকায়েপের মাধ্যমে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার শতাধিক শিক্ষক নিয়োগ পান। এরপর শর্ত মতে পাচ্ছিলেন বেতন-ভাতা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ায় ইতিমধ্যে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। সেকায়েপের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের অনেকের সরকারি চাকুরীর বয়সও শেষ হয়ে গেছে। এ সকল শিক্ষকদের কেউ কেউ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে উর্ত্তীণ। এমপিওভুক্ত বা স্থায়ীকরণ না হওয়ায় শিক্ষকদের পরিবারে দেখা দিয়েছে নানা সংকট, ঝামেলা আর টানাপোড়ন। কিন্তু বেতন-ভাতা বন্ধ হলেও তারা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালিয়ে যাচ্ছেন স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।

কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয় গনিত শিক্ষক স¤্রাট রোমান বলেন, আমরা অনেক আশা নিয়ে এই চাকুরীতে যোগদান করেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল মেয়াদ শেষ হবার আগে চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হবে, কিন্তু এটা শুধু স্বপ্নই রয়ে গেল। আমরা সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করছি, দ্রুত আমাদের চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হোক, অথবা অন্যকোন প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম চালু রাখা হোক। যাতে আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-যাপন করতে পারি।
আরেক শিক্ষক মো. নজরুল বলেন, সর্বশেষ আমরা ২২ হাজার থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত বেতন-ভাতা পেয়েছিলাম। যা গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। এখন আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।

মাদারীপুরের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র বিশ^াস বলেন, আমরা শুধু বিদ্যালয়গুলো মনিটরিং করি। বেতনভাতার বিষয় জানে মন্ত্রনালয়। আমরাও চাই সেকায়েপ প্রকল্পের শিক্ষকরা বেতন-ভাতা নিয়মিত পান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, সেকায়েপের এসকল শিক্ষকরা সহযোগিতা চাইলে, প্রশাসন সবসময় তাদের পাশে রয়েছে। এছাড়া তারা যাতে নিয়মিত বেতন-ভাত পান এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ